আস্তাগফিরুল্লাহ একটি আরবি শব্দ। দুটি শব্দ মিলে বাক্যটি তৈরি হয়েছে ৷ আস্তাগফিরুল্লাহ এর অর্থ হচ্ছে, ‘আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি’।
কোন খারাপ কাজ করে পরবর্তীতে অনুতপ্ত হলে এ দোয়াটি পাঠ করা হয়।
দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন কাজে আমরা অনেক সময় আস্তাগফিরুল্লাহ বলে থাকি। আস্তাগফিরুল্লাহ সচরাচর ব্যবহৃত একটি বাক্য হিসাবে ।
যদিও বাক্যটির অর্থ অনেক গভীর.
তবে আমরা অর্থ না জানার কারণে এর ভাব-গাম্ভীর্য বজায় রাখতে পারি না।
আর আজকের এই আলোচনায় আপনি আস্তাগফিরুল্লাহ অর্থ কি তা জানলেন।
আস্তাগফিরুল্লাহ দোয়া বাংলা উচ্চারণঃ
আস্তাগফিরুল্লাহ
আস্তাগফিরুল্লাহ সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি দোয়া আছে। আপনি নির্দিষ্ট একটি অথবা চাইলে প্রতিটি পাঠ করেই আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারেন।
দোয়া ১: আস্তাগফিরুল্লাহ
অর্থ: আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি.
দোয়া ২: আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়াতুবু ইলাইহি ৷
অর্থ: আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তার দিকে প্রত্যাবর্তন করছি ৷
দোয়া ৩: রব্বিগফিরলি ওয়াতুবু ইলাইহি ইন্নাকা আন্তাত তাওয়াবুর রাহিম ৷
অর্থ: হে আমার প্রভু, আমাকে ক্ষমা করুন ৷ আমার তওবা কবুল করুন ৷ নিশ্চয় আপনি তওবা কবুলকারী রহমশীল৷
দোয়া ৪: আল্লা-হুম্মা আনতা রব্বী লা ইলা-হা ইল্লা আনতা খালাক্বতানী, ওয়া আনা ‘আবদুকা ওয়া আনা ‘আলা ‘আহদিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাসতাত্বা‘তু, আ‘ঊযুবিকা মিন শার্রি মা ছানা‘তু। আবূউ লাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়া ওয়া আবূউ বিযাম্বী ফাগফিরলী ফাইন্নাহূ লা ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা।
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি আমার পালনকর্তা। তুমি ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমার দাস। আমি আমার সাধ্যমত তোমার নিকটে দেওয়া অঙ্গীকারে ও প্রতিশ্রুতিতে দৃঢ় আছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট হতে তোমার নিকটে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আমার উপরে তোমার দেওয়া অনুগ্রহকে স্বীকার করছি এবং আমি আমার গোনাহের স্বীকৃতি দিচ্ছি। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা কর। কেননা তুমি ব্যতীত পাপসমূহ ক্ষমা করার কেউ নেই।
আস্তাগফিরুল্লাহ কখন পড়তে হয় ?
মিশকাত শরীফের হাদীসে জানা যায়, নবীজি হযরত মোহাম্মদ (সা:) প্রতিদিন প্রতি ওয়াক্ত নামাজের সালাম ফিরানোর পরে এ দোয়াটি তিনবার পাঠ করতেন ৷ তবে শুধু নামাজের পরই না, যেকোন সময়েই দোয়াটি পাঠ করা যায়। এই ইস্তেগফারটি কমপক্ষে ৭০ থেকে ১০০ বার পাঠ করা উচিত ৷ বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দৈনিক কমপক্ষে ৭০ থেকে ১০০ পর্যন্ত পাঠ করতেন ৷ (বুখারী শরিফ)
আস্তাগফিরুল্লাহ এর ফজিলতঃ
আস্তাগফিরুল্লাহ এর প্রধন ফজিলত হচ্ছে আল্লাহ তা’আলার ক্ষমা পাওয়া। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মাদ (সা:) তাদের জন্য সুসংবাদ দিয়েছেন, যাদের আমলনামায় অধিক ইস্তেগফার পাওয়া যাবে।
প্রতিদিন আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠ করা নবীজি (সা:) এর সুন্নতের অনুসরণ। কারণ নবীজি (সা:) দৈনিক কমপক্ষে ৭০ বার ইস্তেগফার পাঠ করতেন।
আস্তাগফিরুল্লাহ’র রয়েছে বহুমুখী ফজিলত:
ইস্তেগফার নির্ভেজাল একটি ইবাদত।
গুণা থেকে ক্ষমা প্রাপ্তির মাধ্যম।
বৃষ্টি বর্ষণের কারণ।
সার্বিক শক্তি অর্জনের মাধ্যম।
সম্পদ ও সন্তান অর্জনে সহায়ক।
জান্নাতে প্রবেশের সিঁড়ি।
❤️❤️❤️
ReplyDelete